স্মৃতি রোমান্থন
সময়
সন্ধ্যা। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। কোচিং থেকে বের হলাম। ভিজতে ভিজতেই বাসার দিকে
রওনা দিলাম। কিছুদুর এগিয়ে গিয়ে দেখি শোভা তার মাকে নিয়ে একটি চায়ের
দোকানের পাশে দাড়িয়ে আছে। ওরা আগেই বের হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য আটকে
গেছে।
আমি গিয়ে বললাম, “অ্যান্টি, রিক্সা পাচ্ছেন না?”
“না বাবা, বৃষ্টি মনে হয় এখনি কমে যাবে। বাসা কাছে তো, তাই ভাবলাম একটু দাড়াই। তুমি ভিজছো কেন? ঠাণ্ডা লাগবে তো।”
“সমস্যা নেই অ্যান্টি। শোভা, চা খাবা?”
“হ্যাঁ খাওয়া যায়।”
“অ্যান্টি খাবেন?”
অ্যান্টি কিছু বলল না। আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো। মেয়েও এক গাল হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চায়ের কথা বললাম।
“শোভা, নামো। এত সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, ভিজবা না?”
শোভা অ্যান্টির দিকে কাতর চোখে তাকাল।
“আমার দিকে তাকাচ্ছিস কেন? যা ভেজ। পড়ে ঠাণ্ডা লাগালে, দেখিস।”
ততক্ষণে চা হয়ে গেছে। আমি শোভাকে আর অ্যান্টিকে চায়ের কাপ দিলাম। আর নিজেও কাপ নিলাম।
“বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে চা খাবা?”
“বললাম তো, নেমেই দেখো। অনেক মজা আছে।”
শোভা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে, এক গাল হাসি দিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। আর আমি মুগ্ধ হয়ে ওর দিকে হাসিহাসি মুখ করে তাকিয়ে থাকলাম। একটু লজ্জাও লাগছে। সামনে অ্যান্টি আছে। শোভা মুহূর্তটা উপভোগ করছে। চায়ের কাপে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে। আর সে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। আমি শোভার উপভোগ করে চা খাওয়া আর বৃষ্টিতে ভেজা উপভোগ করছি।
অ্যান্টি বলল, “বৃষ্টি থামছে না। রিক্সা ঠিক করতে হবে।”
আমি চায়ের কাপ রেখে রিক্সা ঠিক করলাম। ওদের কে রিক্সায় তুলে দিলাম। রিক্সায় ওঠার পর শোভা আমার দিকে তাকালো। তার চোখ মুখ বলছে, “ধন্যবাদ তোমায়, অল্প কিছুক্ষণ তবে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালাম তোমার সাথে।”
আমি কি মনে করে স্যান্ডেল খুলে হাতে নিলাম। আমার কাধে ব্যাগ। হাঁটতে শুরু করলাম। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আমি এক হাতে স্যান্ডেল নিয়ে হাঁটছি। কিছু মানুষ আমার দিকে উৎসাহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। তাদের এত উৎসাহের কোনো কারন খুজে পাচ্ছি না। বাকি পথ আমি আনমনে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে গেলাম।
এখন, আজ, শোভার একটি কন্যা সন্তান আছে। এই সেদিনের ঘটনা, আমি একটা গলির রাস্তার পাশে বসে মোবাইলের স্ক্রিনে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছি। শোভা তার কন্যাকে নিয়ে আমার সামনে দিয়ে চলে গেলো। সৌভাগ্য, আমি তাকে দেখিনি। তবে সে আমাকে দেখেছে। এবং পুরনো স্মৃতি মনে পড়লে যেমন হাসি আসে, ঠিক তেমন করেই হেসেছে।
আমি গিয়ে বললাম, “অ্যান্টি, রিক্সা পাচ্ছেন না?”
“না বাবা, বৃষ্টি মনে হয় এখনি কমে যাবে। বাসা কাছে তো, তাই ভাবলাম একটু দাড়াই। তুমি ভিজছো কেন? ঠাণ্ডা লাগবে তো।”
“সমস্যা নেই অ্যান্টি। শোভা, চা খাবা?”
“হ্যাঁ খাওয়া যায়।”
“অ্যান্টি খাবেন?”
অ্যান্টি কিছু বলল না। আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলো। মেয়েও এক গাল হাসি দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চায়ের কথা বললাম।
“শোভা, নামো। এত সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে, ভিজবা না?”
শোভা অ্যান্টির দিকে কাতর চোখে তাকাল।
“আমার দিকে তাকাচ্ছিস কেন? যা ভেজ। পড়ে ঠাণ্ডা লাগালে, দেখিস।”
ততক্ষণে চা হয়ে গেছে। আমি শোভাকে আর অ্যান্টিকে চায়ের কাপ দিলাম। আর নিজেও কাপ নিলাম।
“বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে চা খাবা?”
“বললাম তো, নেমেই দেখো। অনেক মজা আছে।”
শোভা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে, এক গাল হাসি দিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। আর আমি মুগ্ধ হয়ে ওর দিকে হাসিহাসি মুখ করে তাকিয়ে থাকলাম। একটু লজ্জাও লাগছে। সামনে অ্যান্টি আছে। শোভা মুহূর্তটা উপভোগ করছে। চায়ের কাপে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে। আর সে চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছে। আমি শোভার উপভোগ করে চা খাওয়া আর বৃষ্টিতে ভেজা উপভোগ করছি।
অ্যান্টি বলল, “বৃষ্টি থামছে না। রিক্সা ঠিক করতে হবে।”
আমি চায়ের কাপ রেখে রিক্সা ঠিক করলাম। ওদের কে রিক্সায় তুলে দিলাম। রিক্সায় ওঠার পর শোভা আমার দিকে তাকালো। তার চোখ মুখ বলছে, “ধন্যবাদ তোমায়, অল্প কিছুক্ষণ তবে অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটালাম তোমার সাথে।”
আমি কি মনে করে স্যান্ডেল খুলে হাতে নিলাম। আমার কাধে ব্যাগ। হাঁটতে শুরু করলাম। ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। আমি এক হাতে স্যান্ডেল নিয়ে হাঁটছি। কিছু মানুষ আমার দিকে উৎসাহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। তাদের এত উৎসাহের কোনো কারন খুজে পাচ্ছি না। বাকি পথ আমি আনমনে হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চলে গেলাম।
এখন, আজ, শোভার একটি কন্যা সন্তান আছে। এই সেদিনের ঘটনা, আমি একটা গলির রাস্তার পাশে বসে মোবাইলের স্ক্রিনে মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে আছি। শোভা তার কন্যাকে নিয়ে আমার সামনে দিয়ে চলে গেলো। সৌভাগ্য, আমি তাকে দেখিনি। তবে সে আমাকে দেখেছে। এবং পুরনো স্মৃতি মনে পড়লে যেমন হাসি আসে, ঠিক তেমন করেই হেসেছে।
ছোট হলেও অনেক ভাল লেখা
ReplyDeleteধন্যবাদ। :)
Delete