Skip to main content

Posts

Showing posts from February, 2016

সিক্ত ভালোবাসা

উৎসর্গঃ   তানভী ইসলাম কুমকুম একটা প্রশ্ন করেছিলে। উত্তর দিতে পারিনি। তবে একটা কথা বলতে পারি। সবাই ভালবাসায় সিক্ত থাকতে পারে না। আমি ভালবাসায় সিক্ত থাকতে চাই। হারিয়ে যেতে চাই না। জাহান তাকিয়ে আছে পানির দিকে। তার এই পুকুরটা খুব প্রিয়। তার মন খারাপ থাকলে কিংবা খুব ভালো থাকলে সে এই পুকুর পাড়ে এসে বসে। আজ তার মন ভালো নাকি খারাপ বোঝা যাচ্ছে না। বিকেলের আলো এসে পড়েছে জাহানের মুখে। তাকে অপ্সরীর মত লাগছে। আজ বিকেলের আলো অনেক শান্ত। হয়ত জাহানের জন্য। জাহান অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে পানির দিকে। নিজেকে চিনতে পারছে না। মনে হচ্ছে অন্য ভুবনের কেউ। আচ্ছা, এই অন্য ভুবন কি আদৌ আছে? সেখানে কি যাওয়া যায়? সেখানে গেলে কি তার সমস্ত স্মৃতি হারিয়ে যাবে? অন্তত গত আট বছর? নিজেকে ভুলে যাওয়া যাবে? অন্তত নিজের নাম? জাহান কাঁদছে। শব্দ করে না, নীরবে। সুর্য ডুববে। কোথাও কারোর বিয়ে হবে। জাহান প্রার্থনা করবে। নিস্তব্ধ প্রার্থনা। গুটিসুটি মেরে বসে থাকা জাহানের পাশে এসে পরিমনি বসলো। আপা আপনে কি কানতেছেন? - না। তাইলে আপনার চোখে পানি ক্যান? - আনন্দের পানি। কিসের আনন্দ? - হারিয়ে যাবার আনন্দ।

এক গুচ্ছ ভালোবাসা কিংবা ভুল

উৎসর্গঃ   সোফিনা ই আরব তোমার কাছ থেকেই প্রথম বই নিয়ে পড়তে শুরু করি। ভালো একটা অভ্যাস তুমি তৈরি করে দিয়েছ। সেই জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। গল্পটা কষ্ট করে পড়ার জন্যও ধন্যবাদ। আমার নিজের কোনো বোন নেই। তুমিই আমার বড় বোন। ভালোবাসি বললেই কি ভালোবাসা হয়ে যায়? তবে তোমাকে ভালোবাসি। অনেক বেশি "লাভলি" হও। অনেক বেশি "হ্যাপি" হও। নীলাকে লাল শাড়িতে অদ্ভুত লাগছে। সে একা একটা সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছে। মনে হচ্ছে সোফায় একটা পুতুল বসে আছে। বাম পাশে তার বাবা তার সম্ভাব্য হবু শ্বশুরের সাথে কথা বলছে। আর ডান পাশে তার সম্ভাব্য শাশুড়ি তার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে। হয়ত তিনি জীবিতকালে এমন রূপবতী মেয়ে দেখেননি। নীলার কিছুটা বিরক্ত লাগছে। ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক শব্দ কানে বাজছে। বেজেই যাচ্ছে। মাথা নিচু করে রাখা সত্ত্বেও ফ্ল্যাশের আলো চোখে লাগছে। এত কিছুর পরেও তার মাথায় সৈকত নামের একটা ছেলে কোনো রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই হেসে যাচ্ছে। হাসিটা সুন্দর। এই হাসি দেখেই যে মুগ্ধ হয়েছিল। কি আশ্চর্য ! ভুল সময়ে ভুল মানুষের কথা কেন চিন্তা হচ্ছে? সে তো সৈকতকে ভালোবাসেনি। যাকে

শেষ স্বপ্ন পূরণ

বাইরে বের হয়েই নিমোসীনির মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। একটা রিক্সা নাই। অবশ্য এতো ভোর বেলা রিক্সা পাওয়ার কথা না। কিন্তু তারপরেও তার মেজাজ খারাপ হচ্ছে। কারন সে চায়, অন্তত আজকের দিনটা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাটুক। এটাই সমস্যা। পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছুই হয়না। আরেকবার সব ঠিক আছে কিনা দেখে, গটগট করে গলির মোড়ের দিকে রওনা দিলো। মোড়ে গিয়ে দেখলো, মোটাসোটা একটা লোক রিক্সায় বসে ঝিমুচ্ছে। আর একটা রিক্সাও নেই। কোনো মতে লোকটাকে জাগিয়ে বলল, "মামা চলেন, টাকা বেশি দিবো। যত তাড়াতাড়ি পারেন চালাবেন।" বলেই রিক্সায় উঠে বসলো। ভাগ্য ভাল থাকলে ৮ টার মধ্যে জায়গা মত পোঁছালে হয়। নাহ, রিক্সা ভালোই চালাচ্ছে। ঝিমাতে ঝিমাতে কেউ এতো ভালো রিক্সা চালায় জানা ছিল না। নিমোসীনি দাড়িয়ে আছে একটা বাড়ির সামনে। বাড়ির নাম জ্যোৎস্নাবিলাস। নিমোসীনি প্রায় ভাবে, আর কিছু বাকি আছে এই বিলাসের আগে লাগানোর জন্য? তবে এটা ভালো লাগে। কেন লাগে তার কোনো ব্যাক্ষা নেই। সুরুজ মিয়া গেট খুলে বের হয়ে এলো। নিমোসীনিকে দেখেই এক গাল হাসি দিলো, বলল, "আপা আসছেন? ডাকেন নাই ক্যান?" নিমোসীনি বলল, "ডাকতে যাচ্ছিলাম তার আগেই আপনি বের