Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2016

কোনো এক বর্ষায়

তখন ঝুম বর্ষা হচ্ছে। আমি পারমিতাকে নিয়ে দাড়িয়ে আছি একটা বাড়ির গেটের সামনে। আমাদের মাথার উপর কংক্রিটের ছোট ছাউনি। কোনো মতে বর্ষা থেকে রক্ষা। আমার কাছে স্বর্গ। খুব কাছাকাছি দাড়িয়ে আমরা। কিছুক্ষণ আগে পারমিতা কাঁদছিল। তার চোখের জলে কাজল লেপটে আছে। অদ্ভুত লাগছে দেখতে। অদ্ভুত লাগার মত কোনো ব্যাপার না। তারপরেও মুগ্ধ হয়ে দেখছি। ওর সব কিছুই খুব অদ্ভুত। খুব গভীর ভাবে যখন সে ভাবে তখন তার দুই ঠোটে কিছু ভাজ পড়ে। আমি অবাক হয়ে দেখি। ঠোটে পড়া সামান্য ভাজ এত অদ্ভুত হয় কিভাবে? কিংবা মাঝে মাঝে চোখের পাপড়িতে ভাজ পড়ে। ও যখন চোখ বন্ধ করে, আমি তাকিয়ে থাকি। বর্ননা করার ভাষা পাই না। পারমিতা মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে। রাস্তার দিকে তাকিয়ে বর্ষার ফোটা পড়া দেখছে। তবে এখন আর কাঁদছে না। আর আমি নির্লজ্জের মত দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাকে দেখছি। এটা নিয়ে অবশ্য ওর এখন আর কোনো মাথা ব্যাথা নেই। একবার ঝাড়ি দিয়ে বলেছিল, "এ তোর সমস্যা কিরে? এভাবে কি দেখিস? প্রত্যেকদিন আমার দিকে এভাবে তাকায় থাকার কোনো মানে আছে?" আমি দাত বের করে এক গাল হাসি দিয়ে বলেছিলাম, "তুই বুঝবি নারে। তুই বুঝবি না।" এখন আর কিছু বলে ন