Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2021

Veer Zaara

  Spoiler Alert শুরুতেই ইয়াশ চোপড়ার ম্যাজিকাল কণ্ঠে কবিতা। কবিতা শেষ হওয়া মুহুর্তেই সনু নিগম আর লতা গেয়ে ওঠে আমার প্রিয় সব থেকে ম্যাজিকাল গানটা, “কিউ হাওয়া আজ ইউ গা রা হি হে”। সনুর কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্ক্রিনে চলে আসে আমার প্রিয় সুপারস্টার শাহরুখ খান। সাদা জামা পড়ে সাদা নৌকায় ভেসে প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার দৃশ্য আমাকে আজও অনুপ্রেরণা দেয় প্রকৃতির সাথে এভাবে একাত্বতা ঘোষনা করার। মুভির শুরুতেই এই গান মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি দেয়। মুভি দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়।   এই গান শেষ হওয়া মুহুর্তেই দেখা যায়, বৃদ্ধ বীর প্রতাপ সিং স্বপ্নে জারা হায়াত খানকে গুলি খেতে দেখে ধরফর করে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে। শাহরুখ খানের এই বৃদ্ধ চরিত্র তার ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে আজীবন। ২২ বছর ধরে বীর প্রতাপ সিং নিজেকে জেলে বন্দী করে রেখেছে। এই ২২ বছরে কারো সাথে একটা কথা পর্যন্ত বলেনি। শুধুমাত্র জারার সন্মান রক্ষার্থে। কেউ তার গল্প জানেনা। হঠাৎ একদিন সামিয়া সিদ্দিকি নামের একজন হিউমান রাইটস লয়ার এগিয়ে এলো এই বীর প্রতাপ সিং এর গল্প জানার জন্য। ২২ বছর ধরে যেই মানুষটাকে সবাই কয়েদী নম্বর ৭৮৬ ব

Anveshanam (2020)

No Spoiler মুভির নাম Anveshanam , এটি একটি মালায়ালাম মুভি। মুভিতে একটা দৃশ্য দেখে বহু বছর পরে বুক কেঁপে উঠেছিলো। অত্যন্ত চমৎকার একটা মুভি। সিরিয়াল কিলার রিলেটেড থ্রিলার মুভি দেখতে দেখতে বিরক্ত ধরে গেলে চট করে এই হাসপাতাল পরিবেশে বানানো থ্রিলার মুভিটি দেখে ফেলুন। থ্রিলার মুভির নানান ধরণ আছে। আমার কাছে এই ধরণের থ্রিলার বেশি ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। দূর্দান্ত লেগেছে। প্লট অনুযায়ী পারফেক্ট মিউজিক।   আমি প্রথমে ট্রেইলার দেখেছিলাম। ট্রেইলার অর্ধেক দেখেই আমার আগ্রহ জাগে এবং সাথে সাথে ডাউনলোড দিয়ে দেখতে বসে গেছি। আপনারা চাইলে ট্রেইলারটা দেখে আসতে পারেন। আগ্রহ জাগানোর জন্য প্লট সম্পর্কে একটু বলি। হাসপাতালে একটা বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। বলা হচ্ছে বাচ্চাটা এক্সিডেন্ট করেছে। পুলিশ এসে ইনভেস্টিগেশন শুরু করলে দেখা যায় বাচ্চার বাবা মা থেকে শুরু করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে মিথ্যা কথা বলছে। কিছু একটা লুকাচ্ছে। কি লুকাচ্ছে? সেটাই রহস্য। এই রহস্যে জানতেই মুভিটা দেখতে হবে।   এই মুভির কোনো রিভিউ আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু এই মুভি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করা উচি

Awe! (2018)

  No Spoiler কাজল আগারওয়ালের ক্যারিয়ারের বেষ্ট পারফর্মেন্স সম্ভবত এই মুভিতে ছিল। যদিও পুরো মুভিতে তার উপস্থিতি খুবই কম। হাতে গোনা কয়েক মিনিট বলা যায়, তবুও দূর্দান্ত লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে এই শটটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। যে কয়টা অ্যাঙ্গেল থেকে এই শটটা দেখিয়েছে প্রতিটা শটই ছিলো চমৎকার।   এই মুভিতে বাকি যত অভিনেতা অভিনেত্রী অভিনয় করেছে, প্রত্যেকের চরিত্র অনুযায়ী অভিনয় ছিলো একদম পারফেক্ট। মুভি'র মেসেজ পরিষ্কার ছিলো এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেই সাথে বলবো, ক্লাইমেক্স একদম ধারণার বাইরে ছিলো। অন্তত আমার কাছে। শেষ কথা, ভিন্ন একটা গল্প ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।   Movie: Awe! (2018) Director: Prasanth Varma Writer: Shivgopal Krishna Stars: Kajal Aggarwal, Nithya Menon, Srinivas Avasarala

Pudhu Pettai (2006)

  No Spoiler আমার ধারণা, Pudhu Pettai (2006) ধানুশের সব থেকে আন্ডাররেটেড মুভি। এই মুভি খুব কম মানুষ দেখেছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, ধানুশের ক্যারিয়ারে সেরা কয়েকটা মুভির তালিকায় এই মুভি শীর্ষে থাকবে। খুব কম মানুষ এই মুভি দেখলেও আইএমডিবিতে এই মুভির রেটিং ৮.৪। মুভি দেখেই বুঝেছি মানুষ শুধু শুধুই এত রেটিংস দিয়ে রাখে নাই। ধানুশ হচ্ছে আমার কাছে বরাবরই একটা বিস্ময়ের নাম। আমি যতই তাকে স্ক্রিনে দেখি ততই অবাক হই। যেখানে বলিউডে সবাই ছুটছে সিক্স প্যাক এব বানানোর পিছনে সেখানে এই ধানুশ কোনোরকম শারীরিক ফিটনেস ছাড়াই চোখে মুখে বিশ্বাসের সাথে দুর্দান্ত অভিনয় করে যাচ্ছে, তাও আবার একশন মুভিতে। একশনের সময় শুধুমাত্র আপনি ধানুশের চোখ দেখলেই অবাক হয়ে যাবেন। শুধুমাত্র অভিনয় দিয়ে বডি ফিটনেস আর হাইট'কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে এই মানুষটা। এই মুভির জনরা বলতে গেলে সার্ভাইভাল একশন ঘরনার। কুমার নামের একজন মানুষ পরিস্থিতির শিকার হয়ে ডাস্টবিনের পাশে গিয়ে দাড়িয়েছে। সেখান থেকে সে উঠে এসে হয়ে যায় একটা গ্যাং এর লিডার এবং পরবর্তীতে একজন পলিটিশিয়ান। পুরো গল্প আমি দুই লাইনে লিখলেও এর ব্যাপ্তি আসলে বিশাল, ভ

Bhavesh Joshi Superhero (2018)

  No Spoiler বলিউডে দূর্দান্ত মুভি ফ্লপ হয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেহাতই কম নয়। Bhavesh Joshi Superhero (2018) ঠিক সেরকমই দূর্দান্ত একটা মুভি, যেটা বক্স অফিসে ফ্লপ। যার বাজেট ছিলো ২১০ মিলিয়ন কিন্তু আয় করেছে ১৪.৫ মিলিয়ন। মানুষ হলে মুভিটা দেখতেই যায়নি। মুভির শেষ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে ডিরেক্টর ভিক্রমআদিত্যা এইটার সিকুয়াল বানাতে চেয়েছেন। কিন্তু ফ্লপ হয়ে যাওয়ার পরে সিদ্ধান্ত কি নিয়েছেন, আমি জানিনা। তবে ডিরেক্টর ভিক্রমআদিত্যার কাছে আমি অনুরোধ করবো এর সিকুয়াল বানাতে। যারা এই মুভি দেখেছে তারা কেউই এই মুভি নিয়ে নেগেটিভ রিভিউ দেয়নি। মুভিটা বক্স অফিস কাঁপাতে পারিনি শুধুমাত্র এই মুভিতে জনপ্রিয় কোনো অভিনেতা অভিনেত্রী নেই বলে। এমন ডার্ক থিমে বলিউডে আর কোনো সুপারহিরো মুভি আছে কিনা আমার জানা নেই।   এই মুভির শুরুটা একটুখানি বোরিং। বোরিং হবার কারনটা শেষে বুঝেছি। ডিরেক্টরের প্লান হচ্ছে, এই মুভির সিকুয়াল বানানো। এই কারনে এই মুভিতে খুব দ্রুত গল্পে না ঢুকে বরং ক্যারেক্টারগুলো সাজানোর চেষ্টা করেছিলেন। মুভিটা যখন মূল গল্পে যখন ঢুকলো, তখন আমি খুবই অবাক হয়েছি। এক কথায় দূর্দান্ত ছিলো। প্রতিটা ক্যারেক্টার এ

Memories of Murder (2003)

  Spoiler Alert এই মুভির পরিচালক Bong Joon Ho ২০১৯ সালে Parasite বানিয়ে অস্কার জিতে নিয়েছেন। এই পরিচালকের যে কয়টা মুভি আমি দেখেছি সব কয়টি ভালো লেগেছে। তো, মেমোরিস অফ মার্ডার মুভিটা বানানো হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সাউথ কোরিয়ার সব থেকে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে বানানো হয়েছে এই মুভি। ২০১৯ সালে একটা প্রতিবেদন এসেছে যে সিরিয়াল কিলারকে নাকি পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা আমি জানিনা। ১৯৯৪ সাল থেকে জেলে আছে এমন একজন আসামীর সাথে সেই সিরিয়াল কিলারের ডিএনএ ম্যাচ করেছে।   South Korean police have identified a suspect more than 30 years after one of the country’s most notorious serial murder cases, but are unable to launch proceedings because it’s too long ago. The suspect is already serving a life sentence for raping and murdering his sister-in-law in 1994. এই সিরিয়াল কিলারকে বলা হয় "কোরিয়ান জোডিয়াক কিলার" এবং এটি হচ্ছে সাউথ কোরিয়ার প্রথম হাই প্রোফাইল সিরিয়াল কিলার কেস। এমন ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার কেস সাউথ কোরিয়ার ইতিহাসে বিরল।   এটি ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত ছিলো কোরিয়ার আনসল্ভড কে

Rain Man (1988)

  NO SPOILER অটিজম নিয়ে আমি যতগুলো মুভি দেখেছি আজ পর্যন্ত তার মধ্যে এটা প্রিয় তালিকায় থাকবে সবসময়। প্রথম যখন মুভিটা দেখেছিলাম, টম ক্রুজকে দেখে অবাকই হয়েছিলাম। মিশন ইম্পসিবলের টম ক্রুজ একশন ছাড়াও এত সুন্দর সাবলিল অভিনয় করতে পারে, আমাকে ভাবিয়েছিলো। যদিও এই মুভির প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ডাসটিন হফম্যান। এই মুভিতে যার অভিনয় আপনাকে কাঁদাবে এবং ভাবাবে। আপনি তার মত করে নিজেকে ভাবতে শুরু করবেন। মুগ্ধ হবেন তার কথা শুনে এবং তার এক্সপ্রেশন দেখে। ডাসটিন হফম্যান নিজেকে এই চরিত্রের সাথে এতটা মিশিয়ে নিয়েছিলো যে আমার নিজেরই মনে হচ্ছিলো তিনি তার তার স্বাভাবিক জীবনেও হয়তো এমনই। আমার জীবনে দেখা কয়েকটি সেরা পার্ফর্মেন্সের মধ্যে থাকবে এই চরিত্রে অভিনয় করা ডাসটিন হফম্যানের অভিনয়। এবং এই অভিনয় দিয়েই ডাসটিন হফম্যান ১৯৮৯ সালে লিডিং রোলে অস্কার বাগিয়ে নিয়েছিলো।   গল্পটি দুই ভাইকে কেন্দ্র করে। বড় ভাই রেমন্ড ব্যাবিট এবং তার ছোট ভাই চার্লি ব্যাবিট। রেমন্ড ব্যাবিটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডাসটিন হফম্যান এবং চার্লি ব্যাবিটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। দূর্দান্ত ভ্রাতৃত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখতে পাবেন

Into the Wild (2007)

  NO SPOILER এই সিনেমাটা তাদের জন্য, যারা ভাবেন, এইসব নিয়ম-কানুন, যান্ত্রিকতা, ব্যাখ্যাহীন সম্পর্ক ছেড়ে দূরে কোথাও যেতে পারতাম! একেবারে প্রকৃতির খুব কাছে। একেবারে স্বাধীন। কোনো টাকা নেই, কোনো সম্পর্ক নেই, কোনো স্মার্ট ডিভাইস নেই। শুধু আমি আর প্রকৃতি। হ্যাঁ, এমনটা মাঝে মাঝে কিংবা সব সময় যারা ভাবেন তাদের জন্য এই সিনেমা মাস্ট ওয়াচ। সিনেমাটি একটি সত্য ঘটনার উপর নির্মান করা। ক্রিস্টোফার জনসন মেকিন্ডলেস ১৯৯০ সালে পড়াশুনা শেষ করে সিদ্ধান্ত নেন তিনি প্রকৃতির সন্ধানে যাবেন। হেটে বেড়াবেন, খুঁজে বেড়াবেন নিজের স্বত্বাকে, নিজের অস্তিত্বকে। তখন তার বয়স ছিলো ২২ বছর। তার নিজের সেভিংস ছিলো ২৪,০০০ ডলার যেটা তিনি দান করে দেন কোনো এক চ্যারিটি ফাউন্ডেশনে। তারপর তিনি তার গাড়ী নিয়ে নেমে যান রাস্তায়। যাত্রার শুরুতেই গাড়ী নষ্ট হয়ে যায়। গাড়ী ফেলে রেখে তিনি ব্যাগ নিয়ে পায়ে হাঁটা শুরু করেন। উদ্দেশ্য ছিলো আলাস্কা যাবেন। এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়।   প্রকৃতির সাথে একা যুদ্ধ করা খুব একটা সহজ কথা না। সেটা তিনি বুঝতে পারেন একটু দেরিতেই। শুরুতে সময় আনন্দে কাটলেও একসময় বুঝতে পারেন সমাজ কি জন্য সৃষ্টি করা হয়ে

কাভি হা কাভি না

  শাহরুখ খানের কোন মুভিটা আপনার প্রিয়? অসংখ্যবার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। আমার পক্ষে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। তারপরেও যদি এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই হয় তাহলে বলবো, আমার দেখা সব থেকে প্রিয় মুভি, “কাভি হা কাভি না”। সব থেকে প্রিয় দৃশ্য এটি। বুকে চিনচিন করে ব্যাথা হয়েছিলো। ঠিক যেরকম ব্যাথা সুনীল পেয়েছিলো এই দৃশ্যে। মধ্যবিত্ত একটা ছেলের বাস্তব জীবনের প্রায় প্রতিটা সত্য দৃশ্যকে সিনেমাটিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই মুভিতে। এই একটা মুভি যেখানে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যার্থতার গল্পই দেখানো হয়েছে খুব পরিপাটিভাবে। যখন মুভিটা শেষ হয়, সব শেষ হয়ে যায় তখন আবার সুনীল আশায় বুক বাধে। নতুন কোনো স্বপ্ন এসে নতুন করে মোড় নেয় জীবনে। আপনি যাকে ভালোবাসবেন, সে আপনাকে ভালোবাসবে না। আপনি যে লক্ষ্যের পিছনে ছুটবেন, সেই লক্ষ্যে আপনার হাতে ছুই ছুই করবে, কিন্তু ধরা দিবে না। আপনি আপন মনে নিজের কষ্ট দূর করার জন্য গান করতে চাইবেন, পারবেন না। কেউ না কেউ এসে বাঁধা দিবেই।   এই দৃশ্যটা কেন প্রিয় সেটা একটু বলি। মুভিটা একটা ড্রিম সিকোয়েন্স দিয়ে শুরু হয়। আবার সেই ড্রিম সিকোয়েন্সে এসেই মুভিটা শেষ হয়