Skip to main content

Memories of Murder (2003)

 

Spoiler Alert

এই মুভির পরিচালক Bong Joon Ho ২০১৯ সালে Parasite বানিয়ে অস্কার জিতে নিয়েছেন। এই পরিচালকের যে কয়টা মুভি আমি দেখেছি সব কয়টি ভালো লেগেছে।

তো, মেমোরিস অফ মার্ডার মুভিটা বানানো হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে। সাউথ কোরিয়ার সব থেকে ভয়ংকর সিরিয়াল কিলারকে নিয়ে বানানো হয়েছে এই মুভি। ২০১৯ সালে একটা প্রতিবেদন এসেছে যে সিরিয়াল কিলারকে নাকি পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা আমি জানিনা। ১৯৯৪ সাল থেকে জেলে আছে এমন একজন আসামীর সাথে সেই সিরিয়াল কিলারের ডিএনএ ম্যাচ করেছে।
 
South Korean police have identified a suspect more than 30 years after one of the country’s most notorious serial murder cases, but are unable to launch proceedings because it’s too long ago. The suspect is already serving a life sentence for raping and murdering his sister-in-law in 1994.

এই সিরিয়াল কিলারকে বলা হয় "কোরিয়ান জোডিয়াক কিলার" এবং এটি হচ্ছে সাউথ কোরিয়ার প্রথম হাই প্রোফাইল সিরিয়াল কিলার কেস। এমন ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার কেস সাউথ কোরিয়ার ইতিহাসে বিরল।
 
এটি ২০১৯ সালের আগ পর্যন্ত ছিলো কোরিয়ার আনসল্ভড কেইস। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হওয়া কেইসটা ২০০৬ সালে অফিসিয়ালি ক্লোজ করে দেয়া হয়েছিলো। টোটাল ১০ টি মার্ডার, ২১০০০+ সাসপেক্ট এবং টোটাল ২ লাখের ওপর পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছিলো কেইসটিতে। তারপরেও তারা কেসটি সল্ভ করতে পারেনি। বাধ্য হয়েছিলো কেইসটি অফিশিয়ালি ক্লোজ করে দিতে।
 
আমি যখন প্রথম মুভিটা দেখি তখন একটু ঘাটাঘাটি করেছিলাম আসল ঘটনা নিয়ে এবং ছোট একটা রিভিউ দিয়েছিলাম একটা গ্রুপে। সেটি নিচে দিয়ে দিলাম।

Memories of Murder দেখার পরে আমারও সবার মত একই প্রশ্ন এসেছিল। আসল খুনি কে ছিল? গুগল করেও আমি খুনী সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারিনি।

যাই হোক, বিভিন্ন গ্রুপেও সার্চ করেছিলাম, তবে এই প্রশ্নের পাশাপাশি আরেকটা প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। সেটা হচ্ছে kwang-ho (যার মুখে পোড়া দাগ আছে) এই ছেলেটাকে যখন park hyun-gyu এর ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় যে সে চেনে কিনা তখন সে কিছু কথা বলে, সেই কথায় কি কোনো ক্লু ছিল?

কথা গুলো হচ্ছেঃ

- You know how hot that fire was?
Look at that photo.
- It was so hot!
Snap out of it. Here look closely.
- Hot hot hot hot! (ছবির দিকে তাকিয়ে বলে)
Look at that photo. Hey, Kwang-ho.
- When I was young he threw me in the fire. That man.

Kwang-ho এর চরিত্র সাধারন ছিল। সে ছিল বোকা এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা ব্যাপার হচ্ছে, সে মিথ্যা কথা বলেনা এবং প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর দিত, হেঁয়ালি না করে। বুঝতে পারছেন, আমি কি বলতে চাইছি?

আরও একটা কথা বলি, যখন তাকে খুনির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, সে খুনির চেহারা মনে করতে পারে কিনা এবং তাকে ছবি (park hyun-ho এর) দেখানো হয় তখন থেকেই সে পাগলের মত হয়ে যায়। ইমোশনাল হয়ে যায়। এর কারন কি? সে কি আসলে কোনো ক্লু দিতে চেয়েছিল? নাকি পুরোটাই হেঁয়ালি ছিল।

যেহেতু মুভিটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে করা হয়েছে, আমার মনে হয় তাদের বেশ একটা বড় ভুল ছিল ওই বোকা ছেলেটার শেষের কথা গুলো হেঁয়ালি হিসাবে নেওয়া।

মুভিটা আমার প্রিয় তালিকায় থাকবে সারাজীবন। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে কোরিয়ান ক্লাসিক থ্রিলার মুভির মধ্যে কোনটি সব থেকে বেষ্ট? আমি নিঃসন্দেহে বলবো, মেমোরিস অফ মার্ডার।

Movie: Memories of Murder (2003)
Director: Bong Joon Ho
Writers: Bong Joon Ho
Stars: Kang-ho Song, Sang-kyung Kim, Roe-ha Kim

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ভালবাসা

ভুমিকা ভুমিকা সাধারনত উপন্যাসের হয় কিংবা রচনা জাতীয় কোনো লেখায় হয়। একটা গল্পের জন্য ভুমিকা লেখা হাস্যকর। তবুও লিখলাম। এই গল্পের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এটা শুধুই কল্পনা দিয়ে লেখা। তবে নাম গুলোর অস্থিত্ত্ব আছে। ভুতের গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। যে গল্প মাথায় ছিল সেটা তেমন ভয়ঙ্কর বলে আমার মনে হলো না। কিংবা আমি হয়ত ভয়ঙ্কর কিছু লিখতে পারতাম না। তাই লিখলাম না। আশা করি এই গল্পটা পড়ে খুব বেশি বিরক্ত হবেন না। যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে ধন্যবাদ। ভালো না লাগলেও ধন্যবাদ।  ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী টুটপাড়া ঘোষের ভিটা, খুলনা ২০.০৯.২০১২  উৎসর্গ  একটা মানুষকে কি দুইবার উৎসর্গ করা যায়? এইটা সেই মানুষটার জন্য, যার কাছেই শুধুমাত্র আমি একজন লেখক। যার কাছে আমার ভালো কাজেরও মূল্য আছে, খারাপ কাজেরও মূল্য আছে। আমার অদ্ভুত আচরণে সে বিরক্ত হয়, আসলে সে মুগ্ধ হয় বলে আমার বিশ্বাস।  মানুষটা আমাকে অনেক ভালোবাসে, এত কেন ভালোবাসে, কিভাবে ভালোবাসে, আমি কিছুই জানিনা। আমার প্রিয় হলুদিয়া পাখি একটা মেয়ে কতটা সুন্দর হলে একটা ছেলে মেয়েটার দিকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে? একটা মেয়ে ঠিক কতটা সুন্দর হলে

Veer Zaara

  Spoiler Alert শুরুতেই ইয়াশ চোপড়ার ম্যাজিকাল কণ্ঠে কবিতা। কবিতা শেষ হওয়া মুহুর্তেই সনু নিগম আর লতা গেয়ে ওঠে আমার প্রিয় সব থেকে ম্যাজিকাল গানটা, “কিউ হাওয়া আজ ইউ গা রা হি হে”। সনুর কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্ক্রিনে চলে আসে আমার প্রিয় সুপারস্টার শাহরুখ খান। সাদা জামা পড়ে সাদা নৌকায় ভেসে প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার দৃশ্য আমাকে আজও অনুপ্রেরণা দেয় প্রকৃতির সাথে এভাবে একাত্বতা ঘোষনা করার। মুভির শুরুতেই এই গান মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি দেয়। মুভি দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়।   এই গান শেষ হওয়া মুহুর্তেই দেখা যায়, বৃদ্ধ বীর প্রতাপ সিং স্বপ্নে জারা হায়াত খানকে গুলি খেতে দেখে ধরফর করে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে। শাহরুখ খানের এই বৃদ্ধ চরিত্র তার ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে আজীবন। ২২ বছর ধরে বীর প্রতাপ সিং নিজেকে জেলে বন্দী করে রেখেছে। এই ২২ বছরে কারো সাথে একটা কথা পর্যন্ত বলেনি। শুধুমাত্র জারার সন্মান রক্ষার্থে। কেউ তার গল্প জানেনা। হঠাৎ একদিন সামিয়া সিদ্দিকি নামের একজন হিউমান রাইটস লয়ার এগিয়ে এলো এই বীর প্রতাপ সিং এর গল্প জানার জন্য। ২২ বছর ধরে যেই মানুষটাকে সবাই কয়েদী নম্বর ৭৮৬ ব

Anveshanam (2020)

No Spoiler মুভির নাম Anveshanam , এটি একটি মালায়ালাম মুভি। মুভিতে একটা দৃশ্য দেখে বহু বছর পরে বুক কেঁপে উঠেছিলো। অত্যন্ত চমৎকার একটা মুভি। সিরিয়াল কিলার রিলেটেড থ্রিলার মুভি দেখতে দেখতে বিরক্ত ধরে গেলে চট করে এই হাসপাতাল পরিবেশে বানানো থ্রিলার মুভিটি দেখে ফেলুন। থ্রিলার মুভির নানান ধরণ আছে। আমার কাছে এই ধরণের থ্রিলার বেশি ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। দূর্দান্ত লেগেছে। প্লট অনুযায়ী পারফেক্ট মিউজিক।   আমি প্রথমে ট্রেইলার দেখেছিলাম। ট্রেইলার অর্ধেক দেখেই আমার আগ্রহ জাগে এবং সাথে সাথে ডাউনলোড দিয়ে দেখতে বসে গেছি। আপনারা চাইলে ট্রেইলারটা দেখে আসতে পারেন। আগ্রহ জাগানোর জন্য প্লট সম্পর্কে একটু বলি। হাসপাতালে একটা বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। বলা হচ্ছে বাচ্চাটা এক্সিডেন্ট করেছে। পুলিশ এসে ইনভেস্টিগেশন শুরু করলে দেখা যায় বাচ্চার বাবা মা থেকে শুরু করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে মিথ্যা কথা বলছে। কিছু একটা লুকাচ্ছে। কি লুকাচ্ছে? সেটাই রহস্য। এই রহস্যে জানতেই মুভিটা দেখতে হবে।   এই মুভির কোনো রিভিউ আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু এই মুভি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করা উচি