Skip to main content

রহস্যময় ভালবাসা

ভুমিকা

ভুমিকা সাধারনত উপন্যাসের হয় কিংবা রচনা জাতীয় কোনো লেখায় হয়। একটা গল্পের জন্য ভুমিকা লেখা হাস্যকর। তবুও লিখলাম। এই গল্পের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এটা শুধুই কল্পনা দিয়ে লেখা। তবে নাম গুলোর অস্থিত্ত্ব আছে। ভুতের গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। যে গল্প মাথায় ছিল সেটা তেমন ভয়ঙ্কর বলে আমার মনে হলো না। কিংবা আমি হয়ত ভয়ঙ্কর কিছু লিখতে পারতাম না। তাই লিখলাম না। আশা করি এই গল্পটা পড়ে খুব বেশি বিরক্ত হবেন না। যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে ধন্যবাদ। ভালো না লাগলেও ধন্যবাদ। 

ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী
টুটপাড়া ঘোষের ভিটা, খুলনা
২০.০৯.২০১২ 

উৎসর্গ 

একটা মানুষকে কি দুইবার উৎসর্গ করা যায়?
এইটা সেই মানুষটার জন্য, যার কাছেই শুধুমাত্র আমি একজন লেখক।
যার কাছে আমার ভালো কাজেরও মূল্য আছে, খারাপ কাজেরও মূল্য আছে।
আমার অদ্ভুত আচরণে সে বিরক্ত হয়, আসলে সে মুগ্ধ হয় বলে আমার বিশ্বাস। 
মানুষটা আমাকে অনেক ভালোবাসে, এত কেন ভালোবাসে, কিভাবে ভালোবাসে, আমি কিছুই জানিনা।

আমার প্রিয় হলুদিয়া পাখি


একটা মেয়ে কতটা সুন্দর হলে একটা ছেলে মেয়েটার দিকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে? একটা মেয়ে ঠিক কতটা সুন্দর হলে একজন লেখক বলেন যে, এই মেয়েকে একবার দেখে যে পুরুষ প্রেমে পড়বে না, সে পুরুষ না? সুরমার দিকে সাগর তাকালে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকে। তার মস্তিস্ক বাক্যবিহীন হয়ে যায়। মনের অজান্তে সাগর বলতে থাকে, আমি তোমাকে ভালবাসি। সৃষ্টিকর্তা তাকে সমস্ত সৌন্দর্য দিয়ে পৃথীবিতে পাঠিয়েছেন। সাগর এই অসম্ভব রূপবতী মেয়েটিকে ভালবাসে। অসম্ভব ভালবাসে।

আজ সুরমার বিয়ে। সাগর বিছানায় ঘুম থেকে উঠে বসে আছে। গতকাল সুরমার গায়ে হলুদ ছিল। সাগর একটা মিষ্টি রঙের পাঞ্জাবি পরে হলুদ শাড়ি পরা সুরমাকে দেখতে গিয়েছিল। দূর থেকে দাঁড়িয়ে সুরমাকে দেখছিলো। অসম্ভব সুন্দর একটা মেয়ের তুলতুলে মুখে প্রত্যেকে এসে হলুদ লাগাচ্ছে। আর কিছুক্ষণ পর মেয়েটা অন্য কারো হয়ে যাবে। একটা পুরুষ এসে তার এই তুলতুলে আর পবিত্র শরীর টা নিয়ে যাবে। তাকে ভালবাসবে। সুরমাও তার ভালবাসায় খুশি থাকবে আর অপেক্ষায় থাকবে কবে সে মা হবে।

এইসব ভাবতে ভাবতে সাগর সিগারেট খাচ্ছে। কয়েকদিন হল সাগর সিগারেট খায়। সিগারেট তার স্নায়ুকে ঠাণ্ডা রাখে। অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে। ইদানিং তার খুব অস্থির লাগে। সিগারেট খেলে তার অস্থিরতা কম থাকে। সিগারেট খেতে খেতে একটা বিষয়ে তার কাছে খুব বিরক্ত লাগলো। মেয়েটাকে সে সেই ছোটবেলা থেকে ভালবাসে, আজ তার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, অথচ তার মাঝে কোনও ব্যাথা হচ্ছে না। কোনও কষ্ট হচ্ছে না। তার চোখে কোনও পানিও নেই। এইটা কেমন কথা? তার কি এই বিয়েটা বন্ধ করা উচিত না? নাহ, থাক সুরমা নিজেই যখন খুশি আমার মাতামাতি করা ঠিক হবে না। একটা মানুষকে যদি প্রহার করা হয়, প্রহার করার একটা পর্যায় তার আর ব্যাথা লাগেনা। বাথ্যার একটা সীমা আছে, সীমা লঙ্ঘন করলে ব্যাথা আর টের পাওয়া যায় না।

প্রথম যেদিন সুরমার সাথে দেখা হয় সাগরের আজ সেদিনের কথা মনে পড়ছে। ছোট্ট একটা মেয়ে ফ্রক পরে স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। রিক্সা খুঁজছে স্কুলে যাবে বলে। আর সেই রাস্তার ওপাশে সাগর দাঁড়িয়ে আছে। সেও স্কুলে যাবে বলে রিক্সা খুঁজছে। ছেলেটা তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে। মেয়েটা সেটা দেখছে না। আনমনা হয়ে রিক্সা খুঁজছে। কিন্তু সাগর যে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে সেটা সে দেখছে না। ভালবাসার এই ছিল শুরু। কত কথা হল, কত খেলা হলো তাদের মাঝে, তবুও মেয়েটা বুঝলো না ছেলেটা তাকে ভালবাসে। মেয়েটা যে বুঝছে না এইটা নিয়ে তার মাথাব্যাথা ছিল না। সে শুধু ভালইবেসে গেছে।

সাগর বিছানা থেকে উঠলো। রেডি হতে হবে। এর মধ্যে কে যেন দরজায় কড়া নাড়ল। দরজা খুলে দেখা গেল হাসান এসে দাঁড়িয়ে আছে।
আয়। ভিতরে আয়।
বিয়ে বাড়িতে যাবিনা?
হ যাব। তুই বয়, আমি রেডি হচ্ছি।
বাথরুমে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে সাগর আয়নার দিকে তাকিয়ে আছে। কি দেখছে সে? অন্যভুবনের প্রতিচ্ছবি? তারপরে সে মিষ্টি রঙের পাঞ্জাবিটা পরে নিল। বাথরুম থেকে বের হয়ে সে হাসানকে বলল, চল যাই।
হাসান কিছুক্ষণ সাগরের দিকে তাকিয়ে থেকে রওনা দিল। সাগর আর হাসান রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। কিছুক্ষণ পরে হাসান বলল, কেন বললি না?
বুঝলাম না।
তুই সুরমাকে কেন বললি না যে তুই ওকে ভালবাসিস?
হা হা হা হা। বললে হয়ত ভালই হত।
সাগর কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, আমি ওকে ভালবাসি না।
তুই শিওর? তোর কষ্ট হচ্ছে না?
ক্যান? তোর কি মনে হচ্ছে আমি তোর মত ফ্যাচফ্যাচ করে কানতেছি?
তুই একটা মেয়েকে দশ বছর ধরে ভালবাসিস, সেই মেয়েটার আজ বিয়ে আর তুই আজ বলছিস যে তুই ওকে ভালবাসিস না? তোর কি একবারের জন্য মনে হচ্ছে না যে এই কথাটা ওকে বলা উচিত?
কোন কথাটা? আমি ওকে ভালবসিনা এই কথাটা?
তুই কি একটু সিরিয়াস হবি না?
দোস্ত শোন, আমি সিরিয়াস। খুবই সিরিয়াস। আমার প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগছে। তাড়াতাড়ি চল। আর আমার প্লান হল ওইখানে হেঁটে হেঁটে যাব। চাঙ্গা ক্ষুধায় খেতে মজা।
হাসান বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে। কিছু বলতে পারছে না। তার মুখে কোনও ভাষা নেই। এইটা কোন ধরনের রসিকতা?
আচ্ছা, কি উপহার দেওয়া যায় বলতো? খালি হাতে তো যাওয়া যায় না।
আমার *ল কেটে নিয়ে যা। তুই আর কোনও কথা বলবি না। চুপ করে থাক।
সাগর হো হো করে হেসে উঠলো। কিছুক্ষণ পর চুপ হয়ে গেল। দুইজনেই এখন গম্ভীরভাবে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটছে। কেউ কারো সাথে কথা বলছে না। শুধু সাগরের হঠাৎ মনে হলো, আসলেই তো সে করছে টা কি? তার মাঝে কি ভালবাসা পাবার আখাঙ্খা কাজ করছে না? অবশ্যই করছে। তাহলে সে তার ভালবাসাকে কেন বিসর্জন দিচ্ছে? তার কি দোষ? কত ভাবে সে তার ভালবাসাকে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। সে কি কিছুই বোঝেনি? সে কি এততাই নির্বোধ?

সাগর আর হাসান যে পথ দিয়ে হাঁটছিল সেই পথে একটা ফুলের মার্কেট ছিল। সাগর সেখানে দাঁড়ালো। এক গোছা ফুলের তোরা কিনলো। হাসান ওর দিকে তাকিয়ে বলল, এইটা কি কিনছিস?
এক গুচ্ছ গোলাপ ফুলের তোরা। টাকা নাই। উপহার কিনব কি দিয়ে? তাছাড়া, ও এই ফুল গুলো দেখে খুব খুশি হবে, হাতে নিবে, যেই তার বরের দিকে তাকাবে, ফুলের কথা ভুলে যাবে এবং ফেলে দিবে। যেটা সে সবসময় করে থাকে।
হাসান ওর দিকে রগরগে চোখে তাকিয়ে আছে। কি যেন একটা বলতে গেলো, মনে হয় কঠিন কিছু। বলতে গিয়েও চুপ করে গেলো। তারপর ধাপ করে পিছন ফিরে হাঁটা দিলো। সাগর নির্বিকার ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইলো।

সাগর এখন দাড়িয়ে আছে চারতলা একটা বিল্ডিং এর সামনে। বিল্ডিং এর পিছনে ফাঁকা জায়গা আছে। বিয়ে ওইখানে হচ্ছে। প্রচুর লোকজন। ভিড় ঠেলে সে ভিতরে গেলো। তার সামনে সুরমা বসে আছে। অদ্ভুত সুন্দর দেখতে লাগছে তাকে। লাল শাড়ী আর গহনা পরে হুলস্থুল অবস্থা। তাকে ঘিরে অনেকে দাড়িয়ে আছে। সাগর তাদের মাঝে দাড়িয়ে আছে ফুলের তোরা নিয়ে। সুরমা সাগরকে দেখল। সাগরের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। এই প্রথম বারের মত বুকে কি যেন একটা বিঁধল। একটা অন্য রকম কষ্ট। এই কষ্টের জন্ম অন্য কোনো ভুবন। সাগর এগিয়ে গেলো। ফুলগুলো ওর হাতে দিলো।
সাগর বলল, ভাল থেকো। সুরমা আবারও হাসল।
এভাবে হেসোনা। এই প্রথম সাগর একটা কথা বলল যে ধরনের কথা সে আগে কখনো বলেনি। সুরমার হাসি যেন একটু বিস্তৃত হল। কিন্তু সে কিছু বুঝল কিনা, সেটা বোঝা গেলো না।

সাগর বসে আছে নদীর পারে একটা নৌকার উপরে। অন্ধকার রাত। দূরে ব্রিজের আলো দেখা যাচ্ছে। নদীর উপর সেই আলো এসে পরেছে। একটা হালকা শীতল বাতাস গা ঘেসে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তা মানুষের চোখে অনেক অনুভূতি দিয়ে দিয়েছে। রাগ, কষ্ট, ঘৃণা, আনন্দ, ভালবাসা এইসব অনুভূতি। সাগরের চোখে এখন একটাই অনুভুতি কাজ করছে। সেটা হলো কষ্ট। সমস্ত চোখ জুড়ে তার সীমাহীন কষ্ট। তার বুকটা ভারী হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে কে যেন তার বুকের উপর পাথর চাপা দিয়ে রেখেছে। তার কেন যেন মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে নড়াচড়া করা যাবে না। একটু নড়লেই সে খুব উঁচু কোনও জায়গা থেকে পড়ে যাবে। তার পাশে হাসান এসে বসেছে। দুইজনেই নির্বিকার। হটাৎ করে সাগর হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। সে কেঁদেই যাচ্ছে। কোনও বাঁধ মানছে না। হাসান ওকে জড়িয়ে ধরে আছে। প্রকৃতি এমন কেন করে? একজনকে সব দিচ্ছে আর আরেকজনের কাছ থেকে সব নিয়ে নিচ্ছে? প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করেনা। রহস্য করে।

এরপর প্রায় ছয় মাস পরের ঘটনা। সুরমা সাগরের খোঁজ করছে। কোথায় গেলো আমার বন্ধুটা? আমার ছেলেবেলার বন্ধু। তন্নতন্ন করে খুজতে থাকে। খুঁজে পায়না কোথাও। হটাৎ একদিন হাসানের সাথে দেখা হলো। সুরমা ডাক দিলো। হাসান ফিরল। সুরমা জিজ্ঞাস করল সাগরের কথা।
হাসান ভাই, সাগরের কোনও খবর জানেন? আমি ওকে অনেক খুঁজেছি। পাইনি। ও কোথায়? চাকরি পেয়েছে? বিয়ে করেছে?
হাসান মাথা নিচু করে ছিল। ওর দিকে তাকালো।
সাগর নেই। ও মারা গেছে।
সুরমা অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে। স্থির হয়ে আছে। নিশ্বাস ভারী হয়ে গেছে। সুরমা কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞাস করল, এইসব আপনি কি বলছেন? কিভাবে? ওর কি হয়েছিল? আমাকে কেউ কিছু জানাইনি কেন?
জানিনা কি হয়েছিল। আমার সাথে দেখা করতো না। বাসায় গেলে কথাও বলতো না। হটাৎ একদিন শুনলাম মারা গেছে। বাসায় গেলাম। কিছুই পেলাম না। শুধু ওর টেবিলে একটা কাগজ ছিল। কাগজ টা মানিব্যাগে রেখে দিয়েছি। এই নাও। বলে কাগজ টা ওর দিকে এগিয়ে দিলো।
সুরমা কাগজটা হাত বাড়িয়ে নিল। তার হাত পা কাঁপছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। ও জায়গা থেকে নড়তে পারছে না। হাসান বলল, তুমি ঠিক আছো তো? আমি কি তোমাকে এগিয়ে দেবো?
না হাসান ভাই। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

সুরমা পিছন ফিরে হাঁটতে লাগলো। তার চোখ দিয়ে এখনও পানি পড়ছে। সে কিছুই বুঝতে পারছে না। এইসব কি হলো? কেনো হলো? কোনোভাবে বাসায় এসে বসে পরলো। তারপর সে কাগজটা পড়লো। কাগজে একটা কবিতা ছিলো। কবিতাটা পড়ে সুরমা কাঁদতে শুরু করলো। ঠিক যে ভাবে সাগর কেঁদেছিল। হাউমাউ করে কান্না। যেন এই কান্নার কোনো শেষ নেই।


প্রকৃতির অনেক কিছুই আমরা বুঝতে পারিনা। রহস্যময় প্রকৃতি। রহস্যময় মানুষ। রহস্যময় তাদের জীবনযাপন। রহস্য আছে বলেই হয়তো আমরা বেঁচে আছি। আমরা সপ্ন দেখছি। আমরা আশা করছি। ভালবাসছি এবং কাঁদছি।



আজ আর কোনো বর্ষা নেই
আজ আর কোনো জ্যোৎস্না নেই
তুমি কেন চলে গেলে আমায় ফেলে?
দীর্ঘ রজনী কাঁদিয়ে কেন এই সপ্নে এলে?

আজ আমার চোখে জ্যোতি নেই
আজ আমার বাগানে কোনো গন্ধ নেই
তুমি চলে গেলে আমায় ফেলে
সারা রজনী জুড়ে ভেবেছি তুমি আমায় কি দিলে?

আজ আমার চোখে কোনো কষ্ট নেই, পিপাসা নেই
শুধু আছে নিরাবতা, অপেক্ষা, মৃত্যুকে আগলে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা।।

Comments

Popular posts from this blog

Veer Zaara

  Spoiler Alert শুরুতেই ইয়াশ চোপড়ার ম্যাজিকাল কণ্ঠে কবিতা। কবিতা শেষ হওয়া মুহুর্তেই সনু নিগম আর লতা গেয়ে ওঠে আমার প্রিয় সব থেকে ম্যাজিকাল গানটা, “কিউ হাওয়া আজ ইউ গা রা হি হে”। সনুর কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্ক্রিনে চলে আসে আমার প্রিয় সুপারস্টার শাহরুখ খান। সাদা জামা পড়ে সাদা নৌকায় ভেসে প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার দৃশ্য আমাকে আজও অনুপ্রেরণা দেয় প্রকৃতির সাথে এভাবে একাত্বতা ঘোষনা করার। মুভির শুরুতেই এই গান মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি দেয়। মুভি দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়।   এই গান শেষ হওয়া মুহুর্তেই দেখা যায়, বৃদ্ধ বীর প্রতাপ সিং স্বপ্নে জারা হায়াত খানকে গুলি খেতে দেখে ধরফর করে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে। শাহরুখ খানের এই বৃদ্ধ চরিত্র তার ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে আজীবন। ২২ বছর ধরে বীর প্রতাপ সিং নিজেকে জেলে বন্দী করে রেখেছে। এই ২২ বছরে কারো সাথে একটা কথা পর্যন্ত বলেনি। শুধুমাত্র জারার সন্মান রক্ষার্থে। কেউ তার গল্প জানেনা। হঠাৎ একদিন সামিয়া সিদ্দিকি নামের একজন হিউমান রাইটস লয়ার এগিয়ে এলো এই বীর প্রতাপ সিং এর গল্প জানার জন্য। ২২ বছর ধরে যেই মানুষটাকে সবাই কয়েদী নম্বর ৭৮৬ ব

Anveshanam (2020)

No Spoiler মুভির নাম Anveshanam , এটি একটি মালায়ালাম মুভি। মুভিতে একটা দৃশ্য দেখে বহু বছর পরে বুক কেঁপে উঠেছিলো। অত্যন্ত চমৎকার একটা মুভি। সিরিয়াল কিলার রিলেটেড থ্রিলার মুভি দেখতে দেখতে বিরক্ত ধরে গেলে চট করে এই হাসপাতাল পরিবেশে বানানো থ্রিলার মুভিটি দেখে ফেলুন। থ্রিলার মুভির নানান ধরণ আছে। আমার কাছে এই ধরণের থ্রিলার বেশি ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। দূর্দান্ত লেগেছে। প্লট অনুযায়ী পারফেক্ট মিউজিক।   আমি প্রথমে ট্রেইলার দেখেছিলাম। ট্রেইলার অর্ধেক দেখেই আমার আগ্রহ জাগে এবং সাথে সাথে ডাউনলোড দিয়ে দেখতে বসে গেছি। আপনারা চাইলে ট্রেইলারটা দেখে আসতে পারেন। আগ্রহ জাগানোর জন্য প্লট সম্পর্কে একটু বলি। হাসপাতালে একটা বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। বলা হচ্ছে বাচ্চাটা এক্সিডেন্ট করেছে। পুলিশ এসে ইনভেস্টিগেশন শুরু করলে দেখা যায় বাচ্চার বাবা মা থেকে শুরু করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে মিথ্যা কথা বলছে। কিছু একটা লুকাচ্ছে। কি লুকাচ্ছে? সেটাই রহস্য। এই রহস্যে জানতেই মুভিটা দেখতে হবে।   এই মুভির কোনো রিভিউ আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু এই মুভি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করা উচি