Skip to main content

Rain Man (1988)

 NO SPOILER


অটিজম নিয়ে আমি যতগুলো মুভি দেখেছি আজ পর্যন্ত তার মধ্যে এটা প্রিয় তালিকায় থাকবে সবসময়। প্রথম যখন মুভিটা দেখেছিলাম, টম ক্রুজকে দেখে অবাকই হয়েছিলাম। মিশন ইম্পসিবলের টম ক্রুজ একশন ছাড়াও এত সুন্দর সাবলিল অভিনয় করতে পারে, আমাকে ভাবিয়েছিলো। যদিও এই মুভির প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ডাসটিন হফম্যান। এই মুভিতে যার অভিনয় আপনাকে কাঁদাবে এবং ভাবাবে। আপনি তার মত করে নিজেকে ভাবতে শুরু করবেন। মুগ্ধ হবেন তার কথা শুনে এবং তার এক্সপ্রেশন দেখে। ডাসটিন হফম্যান নিজেকে এই চরিত্রের সাথে এতটা মিশিয়ে নিয়েছিলো যে আমার নিজেরই মনে হচ্ছিলো তিনি তার তার স্বাভাবিক জীবনেও হয়তো এমনই। আমার জীবনে দেখা কয়েকটি সেরা পার্ফর্মেন্সের মধ্যে থাকবে এই চরিত্রে অভিনয় করা ডাসটিন হফম্যানের অভিনয়। এবং এই অভিনয় দিয়েই ডাসটিন হফম্যান ১৯৮৯ সালে লিডিং রোলে অস্কার বাগিয়ে নিয়েছিলো।
 
গল্পটি দুই ভাইকে কেন্দ্র করে। বড় ভাই রেমন্ড ব্যাবিট এবং তার ছোট ভাই চার্লি ব্যাবিট। রেমন্ড ব্যাবিটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডাসটিন হফম্যান এবং চার্লি ব্যাবিটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ। দূর্দান্ত ভ্রাতৃত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখতে পাবেন এই মুভিতে। রেমন্ড এবং চার্লির ক্যামিস্ট্রি দেখে রীতিমত মুগ্ধ আমি এবং দেখার সময় বলেছিলাম, দিস ইজ দ্যা বিউটি অফ দ্যা মুভি।
 
মুভিটা ১৯৮৯ সালে টোটাল ৮ টি ক্যাটাগরীতে অস্কার নমিনেশন পেয়েছিলো। সেই ৮ টির মধ্যে ৪ টি ক্যাটাগরীতে অস্কার জিতেছিলো। জিতেছিলো, Best Picture, Best Actor in a Leading Role, Best Director, Best Writing (Screenplay Written Directly for the Screen), এই চারটি ক্যাটাগরীতে।
 
মুভিটা ব্যাক্তিগতভাবে আমার প্রিয়। বিশেষ করে এই দুইজন অভিনেতাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। টম ক্রুজের প্রিয় মুভির তালিকা করলে সেখানে এই মুভি থাকবে আবার ডাসটিন হফম্যানের প্রিয় মুভির তালিকাতেও এই মুভি থাকবে। গল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম না। এই মুভি যেই দেখুক আশা করি তার ভালো লাগবে। আর যারা ড্রামাটিক্যাল মুভি পছন্দ করেন তারা নিঃসন্দেহে এই মুভি আনন্দ নিয়ে দেখবেন, দেখতে দেখতে মুভির আসল সৌন্দর্য্য খুঁজে পাবেন।
 
Movie: Rain Man (1988)
Director: Barry Levinson
Writers: Barry Morrow (story), Ronald Bass (screenplay)
Stars: Dustin Hoffman, Tom Cruise, Valeria Golino

Comments

Popular posts from this blog

রহস্যময় ভালবাসা

ভুমিকা ভুমিকা সাধারনত উপন্যাসের হয় কিংবা রচনা জাতীয় কোনো লেখায় হয়। একটা গল্পের জন্য ভুমিকা লেখা হাস্যকর। তবুও লিখলাম। এই গল্পের সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। এটা শুধুই কল্পনা দিয়ে লেখা। তবে নাম গুলোর অস্থিত্ত্ব আছে। ভুতের গল্প লিখতে চেয়েছিলাম। যে গল্প মাথায় ছিল সেটা তেমন ভয়ঙ্কর বলে আমার মনে হলো না। কিংবা আমি হয়ত ভয়ঙ্কর কিছু লিখতে পারতাম না। তাই লিখলাম না। আশা করি এই গল্পটা পড়ে খুব বেশি বিরক্ত হবেন না। যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে ধন্যবাদ। ভালো না লাগলেও ধন্যবাদ।  ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী টুটপাড়া ঘোষের ভিটা, খুলনা ২০.০৯.২০১২  উৎসর্গ  একটা মানুষকে কি দুইবার উৎসর্গ করা যায়? এইটা সেই মানুষটার জন্য, যার কাছেই শুধুমাত্র আমি একজন লেখক। যার কাছে আমার ভালো কাজেরও মূল্য আছে, খারাপ কাজেরও মূল্য আছে। আমার অদ্ভুত আচরণে সে বিরক্ত হয়, আসলে সে মুগ্ধ হয় বলে আমার বিশ্বাস।  মানুষটা আমাকে অনেক ভালোবাসে, এত কেন ভালোবাসে, কিভাবে ভালোবাসে, আমি কিছুই জানিনা। আমার প্রিয় হলুদিয়া পাখি একটা মেয়ে কতটা সুন্দর হলে একটা ছেলে মেয়েটার দিকে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে? একটা মেয়ে ঠিক কতটা সুন্দর হলে

Veer Zaara

  Spoiler Alert শুরুতেই ইয়াশ চোপড়ার ম্যাজিকাল কণ্ঠে কবিতা। কবিতা শেষ হওয়া মুহুর্তেই সনু নিগম আর লতা গেয়ে ওঠে আমার প্রিয় সব থেকে ম্যাজিকাল গানটা, “কিউ হাওয়া আজ ইউ গা রা হি হে”। সনুর কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে স্ক্রিনে চলে আসে আমার প্রিয় সুপারস্টার শাহরুখ খান। সাদা জামা পড়ে সাদা নৌকায় ভেসে প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার দৃশ্য আমাকে আজও অনুপ্রেরণা দেয় প্রকৃতির সাথে এভাবে একাত্বতা ঘোষনা করার। মুভির শুরুতেই এই গান মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি দেয়। মুভি দেখার আগ্রহ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়।   এই গান শেষ হওয়া মুহুর্তেই দেখা যায়, বৃদ্ধ বীর প্রতাপ সিং স্বপ্নে জারা হায়াত খানকে গুলি খেতে দেখে ধরফর করে ঘুম ভেঙ্গে উঠে বসে। শাহরুখ খানের এই বৃদ্ধ চরিত্র তার ক্যারিয়ারে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে আজীবন। ২২ বছর ধরে বীর প্রতাপ সিং নিজেকে জেলে বন্দী করে রেখেছে। এই ২২ বছরে কারো সাথে একটা কথা পর্যন্ত বলেনি। শুধুমাত্র জারার সন্মান রক্ষার্থে। কেউ তার গল্প জানেনা। হঠাৎ একদিন সামিয়া সিদ্দিকি নামের একজন হিউমান রাইটস লয়ার এগিয়ে এলো এই বীর প্রতাপ সিং এর গল্প জানার জন্য। ২২ বছর ধরে যেই মানুষটাকে সবাই কয়েদী নম্বর ৭৮৬ ব

Anveshanam (2020)

No Spoiler মুভির নাম Anveshanam , এটি একটি মালায়ালাম মুভি। মুভিতে একটা দৃশ্য দেখে বহু বছর পরে বুক কেঁপে উঠেছিলো। অত্যন্ত চমৎকার একটা মুভি। সিরিয়াল কিলার রিলেটেড থ্রিলার মুভি দেখতে দেখতে বিরক্ত ধরে গেলে চট করে এই হাসপাতাল পরিবেশে বানানো থ্রিলার মুভিটি দেখে ফেলুন। থ্রিলার মুভির নানান ধরণ আছে। আমার কাছে এই ধরণের থ্রিলার বেশি ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। দূর্দান্ত লেগেছে। প্লট অনুযায়ী পারফেক্ট মিউজিক।   আমি প্রথমে ট্রেইলার দেখেছিলাম। ট্রেইলার অর্ধেক দেখেই আমার আগ্রহ জাগে এবং সাথে সাথে ডাউনলোড দিয়ে দেখতে বসে গেছি। আপনারা চাইলে ট্রেইলারটা দেখে আসতে পারেন। আগ্রহ জাগানোর জন্য প্লট সম্পর্কে একটু বলি। হাসপাতালে একটা বাচ্চা ভর্তি হয়েছে। বলা হচ্ছে বাচ্চাটা এক্সিডেন্ট করেছে। পুলিশ এসে ইনভেস্টিগেশন শুরু করলে দেখা যায় বাচ্চার বাবা মা থেকে শুরু করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে মিথ্যা কথা বলছে। কিছু একটা লুকাচ্ছে। কি লুকাচ্ছে? সেটাই রহস্য। এই রহস্যে জানতেই মুভিটা দেখতে হবে।   এই মুভির কোনো রিভিউ আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু এই মুভি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করা উচি